বাবা হিজাব পরে কি স্কুলে যেতে হয়? হিজাব পরে তো বাইরে যেতে হয়। আমি হিজাব পরে স্কুলে যাবই না, যাবই না, যাবই না……
তাহলে তুমি কি পরে স্কুলে যাবা? আমি স্কুল ডেলেস (ড্রেস) পরে স্কুলে যাব।
কথা হচ্ছিল এক বাবা আর তার ২.৫ বছরের বাচ্চার সাথে। মা-বাবার অনেক শখ তার মেয়েকে বোরকা-হিজাব পরাতে অভ্যাস করাবে ছোট বেলা থেকেই। এই জন্যই তিনি ছোট ছোট হিজাব পরান তার মেয়েকে।
কয়েকদিন আগে আমাদের পেজে দেখলেন আমরা যে কোন সাইজে রেডি করে দেই প্রডাক্ট। এই জন্য অনেক আশা নিয়ে এক সাথে মেয়ের মা মেয়ের জন্য ২টা অর্ডার করে দিলেন। ২ দিনের মধ্যে রেডি করে পাঠিয়ে দিলাম প্রডাক্ট। তার পরের ঘটনা বলি…
প্রডাক্ট হাতে পেয়ে বাবা মা ২ জনই খুশি। কিন্তু বেচারি মেয়েটা আর খুশি হতে পারেনি। তার কথা- “একতা কেন? আর কালার কেন নাই? আমি একতা নিব না (আমি পরবই না পরবইনা পরবইনা। আব্বু একটা “গু”। বাসার সবাই কয়েক ঘন্টা পার করল শুধু দেখার জন্য যে পরলে কেমন দেখা যায়। সে পরলই না। তারপর ছোট চাচি অনেক আদর করে বুঝাই সুজাই রাজি করল হিজাব পরাতে। তার পর পরার পর আর সে কারো সামনে যাবে না। কাওকে সে দেখাবেই না। দাদু কে দেখাবে শুধু। অনেক ভুল ভাল বুঝিয়ে সবাইকে দেখানো হল। এরপর আসলো ছবি তোলার পালা। সে কি কান্না। সে ক্যামেরার সামনেই যাবে না। আব্বু গু আম্মু গু। সবাই গন্য (গন্ধ/ পচা)। অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে কয়েকটা ছবি তোলা হয়েছিল। রিকোয়েস্ট করেছিলাম আমি কয়েকটা ছবি তোলার জন্য। সেই রিকোয়েস্ট বা আবদার রাখার জন্য তিনারা পরের দিন আবার চেষ্টা চালালেন বাইরে যেয়ে ছবি তোলার জন্য। পরের দিন ও একই অবস্থা। সারাদিন ধরে সবাইকে হিজাব পরাই দেওয়ার জন্য জান খেয়েছে আমি হিজাব পরব হিজাব করে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে বলে বাবা পরে নি হিজাব আমিও পরব না। বাবাকে পরতেই হবে। তার পর সে মাথার ওরনাটা পরলই না। আর ক্যামেরা? সে তো তার মহা শত্রু। অনেক চেষ্টা করেও তাকে ক্যামেরার সামনে আনা যায়নি। মুখ ঘুরিয়েই রইল।
আপনারাও যদি চান আপনার বাচ্চার জন্য সুন্দর ডিজাইনের ম্যাচিং বোরকা বা কাফতান তাহলে অর্ডার করে ফেলুন আমাদের কাছে। কারন আমরাই দিচ্ছি ১০০% অরিজিনাল দুবাই বোরকা। যে কোন মাপে রেডি করে নিন পছন্দের ড্রেসটি।