ইসলাম ধর্মে নারীদের পর্দা করার র্নিদেশ রয়েছে। পর্দা নারীর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। ধর্ষণের মত ঘৃণিত ঘটনা মহামারি রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে হিজাব পরার বিষয়টি। নারীর নিরাপত্তা, সম্মান আর সৌন্দর্য এর সব-ই বৃদ্ধি করে হিজাব।ফলে মুসলিম তো বটেই অনেক অমুসলিম নারীও আকৃষ্ট হচ্ছেন হিজাবের প্রতি।
যাহোক, বিভিন্নভাবে হিজাব পরা যায়। হিজাবের মূল অনুষঙ্গ হলো স্কার্ফ। তাছাড়া জামার ওড়না, কিনতে পাওয়া দোপাট্টা দিয়েও অনেকে হিজাব পরে। সব চেয়ে সহজ উপায়ে হিজাব পরা যায় একটা বড় ওড়না, ওড়না হিজাব রেডিমেড ( ইরানি বোরকা বাজারে পাওয়া যায় ) স্কয়ার অথবা তিন কোনা স্কার্ফ মাথায় পরে, ২ সাইড থেকে কোনা নিয়ে এসে গলার উপরে, থুতনির নিচে পিন দিয়ে আটকিয়ে দেয়া। ফ্যাশন সচেতন যারা স্টাইলিস্ট ভাবে হিজাব পরতে চান তারা কনট্রাস্ট হিজাব পরতে পারেন। কনট্রাস্ট হিজাব পরতে গেলে ২ টা মানানসই রঙের হিজাব নিয়ে একটি মাথায় আরেকটি গলার কাছ থেকে বাঁধতে হবে, যাতে করে রঙের লেয়ার বোঝা যায়। হিজাব মূলত বোরকা এর সাথে বেশি পরতে দেখা যায়। তবে ফ্যাশন সচেতন দের মধ্যে যারা শাড়ী , বা থ্রি পিচ পরে তাদেরকেও হিজাব পড়তে দেখা যায় ।
বোরকা সাধারণ ড্রেসের মতোই খুব সহজে পরা যায় । ফ্যাশন সচেতন যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাড়ী থ্রি পিচের পাশাপাশি পার্টি বোরকাকে বেছে নিচ্ছে ।
হিজাবে সুন্দরী নারী
যারা হিজাব পরতে আগ্রহী তারা ড্রেস অথবা শাড়ির রঙের সাথে ম্যাচিং করে হিজাব পরতে পারেন।
# যে রঙের হিজাব সেই রঙের ম্যাচিং স্কার্ফ পরতে পারেন।
# যারা কনট্রাস্ট পরতে চান, তারা সাদার উপর কালো হিজাব অথবা গোলাপির উপর হলুদ হিজাব। এভাবে কনট্রাস্ট করে পরতে পারেন।
# তাছাড়া জুতা, ব্যাগ অথবা পাজামার রঙের সাথে মিলিয়েও হিজাব পরতে পারেন।
# দিনের বেলা হালকা রঙের হিজাব পরাই ভালো।
# পার্টিতে গেলে এমন হিজাব পরবেন যেটা খুব ভালো ভাবে ম্যানেজ করা যায়। এমন হিজাব পরবেন না যেটা ফুলে থাকে।অথবা ফেসে যায়, অথবা সিনথেটিক।
# যদি শাড়ির সাথে হিজাব পরেন, তাহলে ব্লাউজের গলা ছোট দিবেন। এমন ভাবে হিজাব পরবেন যাতে করে শুধু গলার নিচ পর্যন্ত ঢাকে। আর বাকিটা শাড়ি এবং ব্লাউজ দিয়ে কভার করবেন।
দেশের যে কোন জেলা থেকে অনলাইনে দুবাই ডিজাইন বোরকা কিনতে পারবেন দুবাই বোরকা থেকে ।