বোরকা সম্পর্কে প্রথমেই যা বুঝতে হবে তা হচ্ছে, এটি সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য নয়; সৌন্দর্য আবৃত রাখার জন্য। এমন বোরকা ব্যবহার করতে হবে, যা এই উদ্দেশ্য পূরণ করে।
[টীকা : আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করে বলেছেন-
হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, তোমার কন্যাদের ও মুমিনদের নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের চাদরের একাংশ নিজেদের (মুখের) উপর নামিয়ে দেয়।-সূরা আহযাব : ৫৯
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-
আল্লাহ তাআলা মুমিনদের নারীদের আদেশ করেছেন তারা যেন কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাথা থেকে চাদর টেনে সম্পূর্ণ মুখমন্ডল আবৃত করে, শুধু (চলার জন্য) এক চোখ খোলা রাখে।
ইসমাঈল ইবনে উলাইয়্যা জিলবাবের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একটি চাদর নিলেন এবং ঘোমটার মতো পরে মাথা মুখ ঢেকে ফেললেন। কপাল, নাক ও বাম চোখও ঢাকলেন। ডান চোখ খোলা রাখলেন। এরপর বললেন, এভাবে আমাদেরকে চাদর পরে দেখিয়েছেন আবদুল্লাহ ইবনে আওন আলমাযানী তাকে দেখিয়েছেন (বিখ্যাত তাবেয়ী) মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন তাকে দেখিয়েছেন আবীদা সালমানী রাহ. (যিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর শাগরিদ ও শীর্ষস্থানীয় তাবেয়ী)।-তাফসীরে তাবারী ১০/৩৩২; তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩/৮২৫
‘জিলবাব’ অর্থ এমন বড় চাদর, যা দ্বারা মুখমন্ডল ও পূর্ণ দেহ আবৃত করা যায়।-তাফসীরে কুরতুবী ১৪/২৪৩ বোরকার দ্বারা জিলবাবের উদ্দেশ্য উত্তমরূপে পূরণ হয়।
দ্বীনদার নারীরা আগে থেকেই বোরকায় অভ্যস্ত। নতুনদের মাঝে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা যায় তার কিছু এই-
১. কেউ কেউ এত আঁটোসাটো বোকরা পরেন যে, দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গের আকার ফুটে উঠে। বলাবাহুল্য, এর দ্বারা বোরকার উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। বরং এ জাতীয় বোরকাও ঐসব পোষাকের অন্তর্ভুক্ত, যা পরিধান করেও নারী অনাবৃত থাকে।
[টীকা : হাদীস শরীফে এক শ্রেণীর নারীকে খুব কঠিন ভাষায় সাবধান করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ‘তারা জান্নাতের সুবাস পর্যন্ত পাবে না।’ এরা হচ্ছে ঐ সকল নারী, যারা পোষাক পরেও নগ্ন, যারা (পরপুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট ও (পরপুরুষকে) আকষর্ণকারী।। যারা বুখতী উটের হেলানো কুঁজের মতো মাথা বিশিষ্ট।হাদীস শরীফে আঁটোসাটো বোরকা পড়া কঠিন ভাবে নিষেধ করা আছে ।
ইসলামের বিধানেই রয়েছে নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা। কুরআন-সুন্নাহর সঠিক
পর্দা নারীর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। ইসলাম ধর্মে পর্দা করার র্নিদেশ রয়েছে